ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্যতম উপজেলা কসবা, উক্ত উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নে আনন্দময়ীর আশ্রমনামে একটি আশ্রম রয়েছে ।
খেওড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়
শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ী (১৯৯৬-১৯৮২) এ পরস্পরারই সৃষ্টি
এ মহীযসী নারী খেওড়া গ্রামে ১৯৯৬ সনের ৩০ শে এপ্রিল জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা শ্রী বিপিন বিহারী ভট্টচার্য বৈষ্ণব সঙ্গীত করতেন। তিনি প্রায়ই গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে গান শুরু করতেন এবং দীর্ঘদীন ধরে যত্রতত্র ঘুড়ে বেড়াতেন। তার স্ত্রী তখন এই উদাসীন স্বামীকে খুজে বেড় করে বাড়ীতে নিয়ে আসতেন। একদিন প্রচন্ড ঝড়ে ঘরের ছাদ উড়ে গেলেও তিনি নির্বিকার বসে বৃষ্টিতে গান করতে থাকেন।
আনন্দময়ী গর্ভে থাকাকালীন তিনি নানা দেব-দেবীর অকস্মাৎ আসা-যাওয়া অনুভব করতেন।অতপর মৌনব্রত গ্রহন করতঃ আধ্যাত্মিক জীবনে ঝুকে পরেন।
আনন্দময়ী অল্প বয়সে শ্রী রমনী মোহন চক্রবর্তীর সাথে বিয়ে হয়। মাত্র তের বছর বয়সে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
স্বামীর বাড়িতে আনন্দময়ীর সেখানকার এক যুবকের সাথে দেখা হয়। যুবকটি আনন্দময়ীর শান্ত ও প্রশান্তিময় জীবন যাপনে গুগ্ধ হয়ে আনন্দময়ীকে মা’ বলে সম্বোধন করলেন এবং ভবিষৎ বাণী করলেন- এই নারীকে একদিন সারা পৃথিবী তার মত করে সম্বোধন করবে।
আনন্দময়ী অনেক সময় কান্নায় বুক ভাসাতেন, ঘন্টার পর ঘন্টা হাসতে পারতেন এবং সঙস্কৃতের মতো শোনায় এমন ভাষায় প্রচন্ড গতিতে কথা বলতেন। তিনি কখনো মাটিতে গড়াগড়ি দিতেন এবং কখনো দীর্ঘক্ষণ ধরে নাচ গান করতেন। তিনি দীর্ঘসময় পযন্ত উপবাস করতেন এবং পরবর্তিতে ৮/৯ জনের খাবার একাই খেতে পারতেন।
আনন্দময়ী ১৯৩২সালে বাংলাদেশ ছেরে ভারতে চলে যান এবঙ দীর্ঘদিন সেখানে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়ান। কিন্তু কোন খানেই বেশীদীন অবস্থান করেন নাই। ভারতে তিনি ভক্তকুল দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকতেন। অবশেষে তিনি বিশ্বে মানবিক সম্প্রীতির দূত হিসেবে পরিণত হন এবঙ ভারত, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, শ্রীলঙ্কা, কানাডা, নেপালসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাঁর ভক্তবৃন্দ ছড়িয়ে পড়ে। এ ভক্তবৃন্দের অনেকেই খেউড়ায় এসে বিরল আধ্যাত্মগামীতকার নিমগ্ন হয়ে কল্যান কামনা করে।
আনন্দময়ী ১৯৮২ সালের ২৭শে আগষ্ট ভারতের কিষাণপুর, দেরাদুনে অবস্থিত আশ্রমে দেহত্যাগ করেন। কনখলে তাঁর মার্বেল সমাধি হতে আনন্দময়ী সারা পৃথিবীতে আর্শীবাদের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
যোগাযোগ:
খেওড়া,কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস