প্রতিষ্ঠানের নাম : | কসবা প্রেসক্লাব, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। | ||||
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা : | সাংবাদিকতা হোক নিরীহ, বঞ্চিত শোষিত মানুষের জন্য-এ স্লোগান নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ১৯৮৪ সনের ১৬ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় কসবা প্রেসক্লাব। এ সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৮ জন। সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় দিবসগুলো যথাযথভাবে উদযাপন, গুণীজন সংবর্ধনা, বৈশাখী উৎসব, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তি পালন, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
তাছাড়া আর্তমানবতার সেবায় - অন্ধ জনে দেহ আলো- স্লোগানের ভিত্তিতে বিগত একযুগ যাবত কুমিল্লা অন্ধ কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় এলাকার বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশুদের চক্ষু চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সংগঠনের সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, ঢাকায় ৩ দিন ব্যাপি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে। কসবা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদানসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন সাময়িকী প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গুণীজন কসবা প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেছেন এবং তাদের মতামত সংগঠনের পরিদর্শন বহিতে লিপিবদ্ধ করেছেন। | ||||
প্রতিষ্ঠাকাল : | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪খ্রি. | ||||
ইতিহাস : | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কসবার আপামর মানুষের অবদান যে কোন এলাকার চেয়ে অনেক বেশী। তৎকালীন ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে কসবা থানা নানা কারণে ঐতিহ্যমন্ডিত। শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ কসবা তৎকালীন ত্রিপুরা রাজাদের দৃষ্টি কাড়ে। তাই অনেক ঐতিহাসিক দীঘি, কোর্ট, জমিদার বাড়ি, রেলপথ, দানশীল ব্যক্তি কসবাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। সত্তরের দশকের শেষদিকে সামরিক শাসনের যাতাকলে ব্যক্তিবিশেষকে তুষ্ট রাখতে গিয়ে কসবাকে দ্বিখন্ডিত করে মাত্র ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে আখাউড়া থানা করা হয়। যা কসবার আপামর মানুষকে আহত করা হয়েছিল। এমতাবস্থায় বিক্ষিপ্তভাবে সাংবাদিকতা চর্চা শুরু হয়। পানিয়ারূপের আবদুল আউয়াল, অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, এম.এইচ. শাহআলম স্বাধীনতাত্তোর সাংবাদিকতা চর্চার অগ্রজ বলা চলে। এঁরা যার যার কর্মজীবনে চলে গেলে একঝাঁক নবীন-প্রবীন পুনরায় সাংবাদিকতা চর্চা শুরু করে। এদের কাউকে কাউকে স্বার্থন্বেষী মহল ব্যবহার করতে চাইলে তা থেকে সাংবাদিকতাকে প্রগতিশীল ধারায় নিয়ে আসার নেতৃত্ব দেন একটি প্রগতিশীল বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা ও জাতীয় সাপ্তাহিক নতুন বাংলা পত্রিকার তৎকালীন জেলা প্রতিনিধি মো. সোলেমান খান। এ অবস্থায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন; সাংবাদিক নেপাল চন্দ্র সাহা, নজমুল হক সজল, জাজিসার গ্রামের মো. ইদ্রিছ, ব্রাহ্মণপাড়া নারায়নপুরের শিক্ষক আবু তাহের, পাথারিয়াদ্বারের আবুল কালাম আজাদসহ আরো অনেকে। “সাংবাদিকতা হোক নিরীহ বঞ্চিত মানুষের জন্য”এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে কসবা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। অগ্নিশপথ করা হয়। অগ্নিশপথ ভংগ করে অনৈতিকতায় ডুবে কেউ কেউ বহিষ্কৃত হয়েছেন। কসবা প্রেসক্লাবকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালন করা হচ্ছে। এজন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। কায়েমী স্বার্থন্বেষী ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র কসবা প্রেসক্লাবকে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। তবুও সংগঠনের সঠিক নেতৃত্ব তাকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে নিরলস কাজ করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কসবা প্রেসক্লাবের সৎ ও নিষ্ঠাবান সদস্যবৃন্দ জাতীয় চেতনাকে সমুন্নত রেখে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. সোলেমান খানের বাড়ি ও পরবর্তীতে সিডিসি স্কুলে প্রতিষ্ঠানটির অস্থায়ী কার্যালয় ছিল। পরে ০১.০১.১৯৯০খ্রি. তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সহিদুল হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হুচ্ছাম চৌধুরী উপজেলা ফ্লাড সেন্টারে স্থায়ীভাবে অফিস বরাদ্ধ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শাহআলম এডভোকেট, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন ভূ্ইয়া বকুল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমদ কবীর উপজেলা পরিষদ সুপার মার্কেট কাম ফ্লাড সেন্টারের ৪র্থ তলায় ৩নং ও ৪নং কক্ষ দুটি স্থায়ীভাবে অফিস বরাদ্ধ দেন। গত ৭ জানুয়ারি ২০১২খ্রি. অফিসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ভেরের কাগজ সম্পাদক জনপ্রিয় সাংবাদিক শ্যামল দত্ত। | ||||
বর্তমান কার্যকরী কমিটি ও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ | ক্র: নং | নাম | পদবী | পত্রিকার নাম | মোবাইল নম্বর/ ই-মেইল |
০১ | জনাব মো. সোলেমান খান | সভাপতি | দৈনিক ভোরের কাগজ প্রকাশক ও সম্পাদক, পাক্ষিক সকালের সূর্য | ০১৭১১২৩২২৩৫ ০৮৫২৪৭৩০৫৫, ৭৩০৭১ s_surjo@yahoo.com | |
০২ | জনাব মো. আবদুল হান্নান | সহ-সভাপতি | দৈনিক ভোরের ডাক | ০১৭২১৪৬৯২৭২ ০৮৫২৪৭৩১৮৭ | |
০৩ | জনাব নেপাল চন্দ্র সাহা | সাধারণ সম্পাদক | দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক রূপসী বাংলা ও বার্তা সম্পাদক, পাক্ষিক সকালের সূর্য | ০১৭২১৪৪৬৪৮২ ০৮৫২৪৭৩১০১ nepal_kasba@yahoo.com | |
০৪ | জনাব মো. সোহরাব হোসেন | সহ-সাধারণ সম্পাদক | দৈনিক প্রথম আলো | ০১৭১৪০৯৮৭৬২ ০৮৫২৪৭৩০৩৪ sohrab_hossan@yahoo.com | |
০৫ | জনাব মো. শাহআলম | অর্থ সম্পাদক | দৈনিক যায়যায় দিন, দৈনিক সমতট বার্তা | ০১৭১৫৮৭২৭৪৭ | |
০৬ | জনাব মো. সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া | সাংগঠনিক সম্পাদক | সাপ্তাহিক সংকেত | ০১৭১৪৯৬২৫৬৪ | |
০৭ | জনাব নাজমুল হক সজল | দপ্তর সম্পাদক | দৈনিক আল হাবিব | ০১৯১৪৪৭১৬৫৪ | |
০৮ | জনাব আবুল কালাম আজাদ | কার্যকরী সদস্য | দৈনিক নয়াদিগন্ত | ০১৮১৮১৯৭১১৯ | |
০৯ | জনাব শেখ মো. কামাল উদ্দিন | কার্যকরী সদস্য | দৈনিক ইনকিলাব, সাপ্তাহিক পেনব্রিজ | ০১৮১৮৬৭৯০৪৫ ০৮৫২৪৭৩১৮৬ smkamal_71@yahoo.com | |
১০ | জনাব আবদুর রকিব স্বপন | পর্যবেক্ষক সদস্য | ফ্রিল্যান্সার | ০১৮১৮৭২৮২৩৫ ০৮৫২৪৭৩১৯০ | |
১১ | মো. অলিউল্লাহ সরকার অতুল | পর্যবেক্ষক সদস্য | দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক আমাদের কুমিল্লা | ০১৭১৬০৯৭৫৫৬ ০১৯২৫৮৩১৯৪০ oliullah_autol@yahoo.com | |
| অন্যান্য সদস্যবৃন্দ |
|
|
| |
১২ | জনাব মুন্সী রুহুল আমিন টিটু | সাধারণ সদস্য | ফ্রিল্যান্সার | ০১৮১৮০২৬৫১৯ | |
১৩ | জনাব আবদুল বাকের সরকার | সাধারণ সদস্য | সহ-সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফিচার | ০১৭১৫৪৫৭০৯৯ | |
১৪ | জনাব এ. কে. ফজলুল হক | সাধারণ সদস্য | ফ্রিল্যান্সার | ০১৭১১১৬৪৫৪৮ | |
১৫ | জনাব মোছলেহ উদ্দিন মাস্টার | সাধারণ সদস্য | ফ্রিল্যান্সার | ০১৭২১৩৭৭৩৯৩ | |
১৬ | জনাব লোকমান হোসেন পলা | সাধারণ সদস্য | সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফিচার | ০১৭১৪২১৭০১০ info@bbfeature.com | |
১৭ | জনাব আবুল খায়ের স্বপন | সাধারণ সদস্য | দৈনিক মানবজমিন | ০১৭১৬২৭০৫০১ | |
১৮ | জনাব মোক্তাদির বিল্লাহ পান্টু | সাধারণ সদস্য | দৈনিক রাহবার | ০১৯১৮৫৩৬৩৭৩ | |
| সহযোগি সদস্য |
|
|
| |
* | জনাব মো. আবুল কালাম আজাদ | দৈনিক দিনকাল |
| ০১৭১১ ১৬২৪১৭ | |
* | জনাব মো. রুবেল আহাম্মদ | দৈনিক সরোদ ও পাক্ষিক সকালের সূর্য |
| ০১৭৫৩২৩৪৫৮২ | |
* | জনাব মো. সাইদুর রাহমান | বাংলাদেশ প্রতিদিন |
| ০১৯৩৭১০৬৩৫৬ | |
* | জনাব মো. মিজানুর রহমান | দৈনিক ডেসটিনি |
|
| |
* | জনাব মো. শাহাদাত হোসেন | দৈনিক বাংলাদেশ সময় |
|
| |
কর্মকান্ড | ফ্যাক্স ও ই-মেইলের মাধ্যমে প্রতিদিন সাংবাদিকগণ তাদের স্ব স্ব পত্রিকায় দৈনন্দিন সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রতিনিয়ত প্রেরণ করে থাকেন। বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকা কসবা হওয়ায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এলাকার সচেতন জনতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তীর্থ ভূমি কসবায় তাঁদের মর্যাদা রক্ষায় সাংবাদিকগণ বদ্ধ পরিকর। তাছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে চোরাকারবার ও মাদকসেবীদের অপকর্মের সংবাদ পরিবেশনসহ সকল প্রকার অন্যায় অবিচার, দুর্নীতি প্রতিরোধে কসবা প্রেসক্লাব সোশ্যাল প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করে আসছে। কসবা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণের দ্বারা বিভিন্ন পত্রিকা সম্পাদনা ও সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের ফলে প্রতিষ্ঠান ও এর কর্ণধারগণ বিভিন্ন পুরস্কার ও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন।
রবীঠাকুরের ১৪০০ সাল উদযাপনে ৩ দিন ব্যাপি মেলা, ১৪০১ সালে ৩ দিন ব্যাপি রবীন্দ্র নজরুল মেলা ও ১৪০২ সালে ৩ দিন ব্যাপি বিজয়মেলা অনুষ্ঠান করে কসবা প্রেসক্লাব প্রসংসা কুঁড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত প্রগতিশীল ধারায় লালিত এ প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চলের মানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির সিস্টার কনসার্ন হিসেবে কাজ করছে ‘‘সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল’’ - নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে দুঃস্থ সাংবাদিকদের সাহায্য সহায়তা করা হয়।
| ||||
অর্জন : | * প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সকালের সূর্য পদক প্রাপ্তি। * পিআইবি কর্তৃক অধিকাংশ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ। * পৌর সুপার মার্কেটের দুতলায় সদস্যদের ক্রয়কৃত ১টি দোকান রয়েছে। উপজেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিতব্য মার্কেট থেকে জেলা পরিষদের লিজকৃত কসবা প্রেসক্লাব মার্কেটের বিনিময়ে ১টি দোকান দেয়ার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শাহআলম এডভোকেট ঘোষণা করেছেন। যা বাস্তবায়নের পথে। অপরদিকে প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল নামে এর একটি সিস্টার সংগঠন আছে, যার সামান্য তহবিল রয়েছে। | ||||
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা : | ১। প্রেসক্লাবের জন্য নিজস্ব ভবন, মিলনায়তন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা। ২। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ আবাসন পল্লী। ৩। সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের পড়াশুনার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৪। প্রেসক্লাবের মাধ্যমে একটি চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ। | ||||
যোগাযোগ (ইমেইল এড্রেস সহ) : | ফোন/ ফ্যাক্স ০৮৫২৪৭৩০৭৫ ই-মেইল: kasbapressclub@gmail.com |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস